যশোরবাসীর রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে লোডশেডিং

মাঝ রাতে বিদ্যুৎ থাকে না দুই থেকে তিন ঘন্টা

জহুরুল ইসলাম,যশোর:দূর্বিসহ লোডশেডিংয়ের কবলে পড়েছে যশোর। অসহনীয় গরমের মধ্যে মাঝ রাতে একাধিকবার এবং দীর্ঘ সময়ের লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে যশোরবাসী। যশোরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন দিনে চার থেকে ৫ বার এবং রাতে দুই থেকে তিন বার লোডশেডিং হয়। কখনো কখনো মাঝ রাতে একটানা দুই থেকে তিনঘণ্টা সময় লোডশেডিং হয়। ফলে অসহনীয় গরমে নিদ্রায় থাকা মানুষের ঘুম ভেঙে যায়।

এদিকে সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন চাহিদার তুলনায় বিদুৎ উৎপাদন কম হওয়ায় লোডশেডিং করতে হচ্ছে।

কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান ধাপক বলেন, বুধবার (১৮ এপ্রিল) রাত ১১ টার দিকে বিদুৎ চলে যায়। প্রায় দুই ঘন্টা পর রাত ১টার দিকে বিদ্যুৎ আসে আমার ও ঘুম ভেঙ্গে যাচ্ছে। আমার বাড়ির আশেপাশে সকলের ঘুম ভেঙে যায়।

রুপদিয়া এলাকার বাসিন্দা শিক্ষক বি এম জহুরুল পারভেজ জানান, গত ৩-৪ দিন ধরে রাতে একটানা ২ থেকে ৩ ঘন্টা লোডশেডিং হয়। গরমে বাচ্চারা ঘুমাতে পারে না। বিদ্যুৎ চলে যাবার সাথে সাথে ফ্যান এসি সব বন্ধ হয়ে যায় আর সকলের ঘুম ভেঙে যায়। সারাদিন রোজা রেখে রাতে ঘুমটাও ঠিকমতো হয় না।

দিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা জাকির হোসেন বলেন, গত তিন চারদিন ধরে যশোরে রাতের বেলায় ভয়াবহ লোডশেডিং হচ্ছে। রোড লাইট জ্বলছে, কিন্তু বাসাবাড়ির বিদ্যুৎ থাকছে না। বিদুৎ গেলে একটানা দুই- তিন ঘণ্টা পর আসে। অসহ্য গরমে ঘুম তো দূরের কথা, বাহিরে বের হয়ে রাস্তায় হাটাহাটি করতে হয়।

মাথাভাঙ্গা এলাকার আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, রাতে বিদ্যুৎ চলে যাবার সাথে সাথে গরমে গোটা এলাকার মানুষ উসপিশ করে। দিলে যত লোডশেডিং হোক না কেন, রাতে এভাবে লোডশেডিং হলে স্বাভাবিক জীবন যাপন কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে।

তিনি আরও বলেন, শুনেছি এলাকার অনেক জায়গায় নাকি আলোকসজ্জা করা। এ সকল আলোকসজ্জা বন্ধ করে অপ্রয়োজনীয় বৈদ্যুতিক লাইটগুলো বন্ধ করে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা যায়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসতে হবে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

যশোর পল্লী বিদ্যুৎ ১ রুপদিয়া সাব জোনাল অফিসের বিতরণের দায়িত্বে (ও এন্ড এম ) সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মোঃ মাসুম বিল্লাহ বলেন, আমার এলাকায় দৈনিক চাহিদা ৮.৫০ মেগাওয়াট হলেও সরবরাহ পাচ্ছি ৭.৫০ মেগাওয়াট। যার কারনে লোডশেডিং দিতে বাধ্য হতে হচ্ছে। বর্তমানে কোন লোডশেডিং নাই ।