
মোহাম্মদ মজিবুলহক: লিখতে আমার ভালো লাগে তাই লিখি এবং পড়ি গুণী লেখকদের লেখা। জানি আমার লেখার মান তেমন ভালো না। স্বীকার করতে কুন্ঠাবোধ করি না, ভাল লেখার সে যোগ্যতাও আমার নেই, কারন: প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই বললেও চলে। যেই কতটুকুন আছে তাও ডিগ্রিহীন, আমি শুধু আমার ভালোলাগা ভালবাসার কাজটাই করি। সাহিত্য সেতো সীমানাহীন এক বিশাল জগত, আমি এক অতি ক্ষুদ্র নগন্যের সাহিত্যের কোনো এক কোনে আমার স্থান হবে কিনা তাহা আমার জানা নেই এবং জানতেও চাই না।
আমি শুধুমাত্র আমার লিখা বা প্রকাশে যদি কোনো ত্রুটি হয়ে থাকে তার জন্য মার্জনা চাই। সৃষ্টিকর্তার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা, জীবন এর প্রতিটি পদক্ষেপে স্রষ্টার সাহায্য কামনা করি। এবং লিখায় ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করি মানবতা, অনেকেই আমি নগন্যের লিখা পড়েন বাকিদের সময় থাকলেও পড়েন না। সবাই ছুটছে’তো ছুটছেই, কিসের পিছনে ছুটছে বা কি জন্য ছুটছে না জানলেও উপলব্ধি করি স্বার্থের পিছে ছাড়া আর কোথায় বা দৌড়াইবে! এই সমাজের বেশিরভাগই মানুষ প্রতিনিয়ত স্বার্থের পিছনেই ঘুরছে, তাইতো স্বার্থের পদতলে আজ পিষ্ট সম্প্রীতি আর তাই মানবতা আজ মুমূর্ষু অবস্থায়।
গুণী কবি সাহিত্যিকরা হলেন মানবতাপ্রেমী তাদের লেখায় ফুটে উঠে মানবজীবন ও সমাজের প্রতিচ্ছবি, যেগুলো পড়লে সেথায় থাকে শিক্ষণকার্য বিষয়াদি। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মাঝেমধ্যে মনেহয় লেখক সমপরিমাণ পাঠকও নেই! তাইতো আজ যদি কেউ কবিতা তথা সাহিত্য রচনা করে ক’জনেই বা সেটা পড়ে? আর তাইতো মানবতাবাদী কবিদের লেখাগুলো পাঠকের অভাবোনুভব করে প্রতিনিয়ত! যদি পাঠকের উৎসাহ অনুপ্রেরণা পায় তাহলে লেখকরা লেখায় আরও আগ্রহী হয়। বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও লক্ষ্য করলে দেখা যায়: কাব্য সাহিত্যের চেয়ে রাজনীতি বা অন্য যে কোন সমকালীন বিষয়ে লেখা অনেক বেশী পঠিত হয় যাহা রিয়্যাক্ট, মতামত দেখলেই বোঝা যায়। কিন্তু কেনো এমন হয়?! একজন কবি সাহিত্যিক যতটা আবেগ পুঁজি করে একটা কবিতা লিখেন যত্নের সাথে যা সৃষ্টি করা হয় তা গুরুত্ব দিয়ে পড়ার যেনো আমাদের সময়ই নেই!
উল্লেখ্য, বর্তমান সমাজে কোনো একজন পিতা কখনো বলেন না যে, আমার ছেলে কবি বা সাহিত্যিক হবে! হয়তো তারা মনে করেন; কবিতা লেখা মানে সময় অপচয়! অথচ এই সভ্যতা সংস্কৃতির ধারক বাহক কবি সাহিত্যকরা, মানব সভ্যতার রূপায়ণে কবি ও কবিতা এক অবিচ্ছেদ অংশ। কবি ও কবিতা কালের মহান এক সাক্ষী। হেঁ মানব মনন, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যেরই ধারক ও বাহক, কবি সাহিত্যিকগণ। তাদের লিখনীতে ফুটিয়ে তোলেন মানবজীবন ও সমাজের প্রতিচ্ছবি, আর তাই সাহিত্যকে বলা হয়ে থাকে সমাজের আয়না।
কবিদের ভাষা কবিতা কবিতার ভাষা মানবতা, মানবতা পরম ধর্ম মানবসেবা ধর্মের ঘাঁটি, জয় হোক মানবতার।।
নয়তো আমি কবি!
মোহাম্মদ মজিবুলহক
আমি একজন মুর্খ জনা এবং অজ্ঞ
জানিনা কবিতা লেখারই রীতিনীতি,
তাই চাইনা আমি কবি হতে এবং কি
আমি চাইনা পেতে কবিত্বের স্বীকৃতি।
আমার যা লেখা মোছা ছন্দাকারেই
করা নিজের মনের অনুভূতি প্রকাশ,
প্রকাশ করি আমি মন গগনেই জমে
থাকা আমার মনের ভাব একাকাশ।
আমি কবি হতেই চাইনা এবং চাইনা
সাজতে আমি কোনই রঙিন ফানুস,
আমি খুঁজি সদা সেই মানুষটা যারে
ভজলেই হওয়া যায় সোনারই মানুষ।
কবি যদিও হও তুমি মানবতার কবি
হও কবিতা হবে মানবতার প্রতিচ্ছবি,
মানুষ নামের মানুষ নয় এসো মনহুস
সম্পন্ন মানুষ হই হওনা নামমাত্র কবি।
কাব্য লিখে কবি’রা বটে শুধু কবিতা
লিখলেও প্রকৃত কবি হওয়া যায় না,
কি হবে কবিতা লিখে তোমারই যেই
কাব্যে মানবতার কথাই স্থান পায় না।
বাংলা সাহিত্যের আধুনিক শুদ্ধ কবি
তার “কবিতার কথা” নামীয় গ্রন্থে কয়,
শুধু কবিতা লিখলে আর কবি অভিধা
প্রাপ্ত হলেও তাহারা সকলেই কবি নয়।
,কবিতায় থাকা চাই মানবতারই কথা
কবিত্ব সেতো প্রভু প্রদত্ত ঐশ্বরিক দান,
জয়হোক মানবতার ও মানবতাবাদীর
মানবতার কবিদের তরে শ্রদ্ধা সম্মান।
লেখক:
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি
বঙ্গ কাব্য সাহিত্য পরিষদ
উপদেষ্টা: টাইম ভিশন২৪
