বিচারবর্হিভূত হত্যার বিষয়ে তারা বলে নাই:পররাষ্ট্রমন্ত্রী

দেশে বিচারবর্হিভূত হত্যা আগে হলেও এখন নেই বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, বিচারবর্হিভূত হত্যার বিষয়ে কোনো পেলে সরকার তা তদন্ত করবে। ঢাকা সফররত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাসেলেটের সঙ্গে রোববার (১৪ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন ড. মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিচারবর্হিভূত হত্যার বিষয়ে তারা বলে নাই। আমরা নিজে থেকে বলেছি যে, কিছু লোককে কিলিং করা হয়েছে। আমাদের এখানে আগে হতো ২০০০, ২০০৩ ওই সময়ে। হার্টফেলের সংখ্যা আর নাই। আমি গত পাঁচ-ছয় বছর দেশে আছি হার্টফেলের আর কোনো স্টোরি শুনি নাই। বিচারবর্হিভূত হত্যার বিষয়ে আমরা কোনো তথ্য পেলে তদন্ত করা হবে। যুক্তরাষ্ট্র প্রতি বছর পুলিশ হাজারখানেক লোক মেরে ফেলে।

বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে ড. মোমেন জানান, কিছু কিছু লোক না কি বলেছে যে, ৭৬ জন লোক গত ১০ বছরে নিখোঁজ হয়ে গেছে। তারা বলেছে, সরকার নাকি নিখোঁজ করেছে। ৭৬ জনের মধ্যে আবার ১০ দশকে দেখা যায় পাওয়া গেছে। বাকীগুলো আমরা ঠিক জানি না। পরিবার কোনো তথ্য দেয় না। পরিবারকে বলা হয়, তারা ভয়ে আর কোনো তথ্য দেয় না। আমরা জানি না তারা কোথায় গেছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ‘‘আরেকটা ইস্যু হচ্ছে, ওদের ধারণা বাংলাদেশে টেলিভিশন, মিডিয়া এগুলোতে কোনো ফ্রিডম নাই। কেউ নিজের কথা বলতে পারে না। তাদের সেন্সর করে। আমি বলেছি আমার এমন কিছু জানা নেই। আমি তো দেখি আমাদের মিডিয়া ভেরি স্ট্রং। প্রাইভেট টেলিভিশন একটা কথা বলে ধরে ফেলে। আমরাতো কখনও তাদের বলি নাই এটা বলবেন না। আমরা এ সম্পর্কে জানি না। কিন্তু কেউ কেউ মনে হয় মনে করে। তারা মনে মনে চিন্তা করে। তাদেরকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে অনেকগুলো মিডিয়া রেজিস্ট্রার্ড হয়েছে। বাংলাদেশে গর্ভমেন্টের মিডিয়া ছাড়া কোনো মিডিয়া নেই। আমি বললাম, সারাদেশে ২৮০০ পত্রিকা বের হয়। গভমেন্ট এগুলোরে সেন্সর করে বলে আমার জানা নাই। সরকারের এত ক্ষমতাও নেই। সিভিল সোসাইটি নাকি নাই। এটা আমরা জানি না সিভিল সোসাইটিতো সব জায়গায় থাকে। এনজিও আমাদের দেশে শতশত। কয়েক হাজার। এখানে প্রাইভেট ভলেনটিয়ার অরগানাইজেশন খুব বেশি নাই।’’