
মোহাম্মদ মজিবুল হক: বারো আউলিয়ার পূণ্যভূমি, বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী বানিজ্যিক রাজধানী বন্দরনগরী চট্টগ্রাম এর উত্তর প্রবেশদ্বার সাহিত্যের আঙিনা খ্যাত মীরসরাই উপজেলাধীন জোরারগঞ্জ থানার অন্তরগত ০৪নং ধুম ইউনিয়ন এর পাখি ডাকা ছায়া ঢাকা সুনির্মল এক মায়াবী গ্রামই আমার জন্মস্থান “উত্তর মোবারক ঘোনা” যার চার দিকে সবুজের অপরূপ সমারোহে সমৃদ্ধ।
দেখতেই নয়ন জুড়ায় আমার জন্মস্থান উত্তর মোবারক ঘোনা তথা আমাদের শুক্র বারইয়ার হাট এলাকা। শৈশব আর কৈশোরে বাল্য বন্ধুদের সাথে খেলাধূলা গল্প আড্ডার পাশাপাশি কতইনা দৌঁড়ে বেড়িয়েছি রোড, মাঠ-ক্ষেত। ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠা অতঃপর লেখাপড়া শেষ হতে না হতেই জীবীকার অন্বেষনে প্রিয় জন্ম স্থান ছেড়ে কর্মস্থান খুঁজে নেয়া। রাক্ষুসী নদী ফেনী নদীর করাল থাবা উত্তর মোবারক ঘোনা গ্রামের একাংশ হারিয়ে যায় নদীর অতল গহ্বরে! ঐ অংশের বাড়িঘর মাঠঘাট এবং অবশিষ্ট উত্তর মোবারক ঘোনার স্মৃতি এখনও ভাবায়, হাসায় এবং কাঁদায়।
ছুটিতে বাড়ি গেলে শৈশব-বাল্যকালের স্মৃতিগুলো বেশিই মনেপড়ে। বাল্যবন্ধু যারা এলাকায় থাকে তাদের ছাড়া বাকিদের সাথে আর তেমন দেখা হয়না! কেউ চাকুরীজীবী কেউ অনত্র ব্যবসায়ী কেউ বা প্রবাসী। সবার তো আর একসময়ে বাড়িতে যাওয়া হয়না। তাছাড়া আমি অধম ইচ্ছে থাকলেও যখন তখন বাড়ি যাওয়া হয়না এবং পরের গোলামী করতে গিয়ে অনেকসময় ঈদ উৎসবেও বাড়ি যাওয়া হয়ে ওঠেনা কারন: নাবিক নামের মালা গলে পড়ে সাগরে বন্দরে থাকতে হয়।
“যদি আবার ফিরে পেতাম ছোটবেলা”
-কলমে: মোহাম্মদ মজিবুলহক
কতইনা মধুর ছিলো আমাদের ছোটকাল
এ জীবনে আর ফিরে পাবোনা বাল্যকাল,
ভাইবোনে হতো কত খুঁনসুটি ঝগড়াঝাঁটি
কাঁদতে-কাঁদতে আবার হাসিও মিটিমিটি।
খেলিতাম কত ডাংগুলি ও ফুটবল খেলা
কাঁনামাছি লুকোচুরি খেলেছি ছেলেবেলা,
ডুব সাঁতরে কত মোরা পুকুর হতাম পার
সাইকেল চালান শিখায় পড়ছি কত বার।
ঘরে বসে জোরেজোরে পড়তে হতো পড়া
ছোট স্বরে পড়লে হবেনা মা’র শাষণ কড়া,
সবে লেখাপড়া করে মানুষ হওয়ার সাধনা
কখন বড় হবো ছেলেবেলার মধুর ভাবনা।
বড় হয়ে ভাবি ছোট ছিলাম ছিলো ভালো
তখন দ্বায়িত্বেরই বোঝা ঘাড়ে নাহি ছিলো,
বড়’তো হচ্ছি শুধু কতটা মানুষ হচ্ছি সবে
ডুবার বাকি জীবনবেলা মানুষ হবো কবে!
লেখক: মোহাম্মদ মজিবুল হক
কবি ও কলামিস্ট
উপদেষ্টা: অনলাইন নিউজ এজেন্সি টাইম ভিশন২৪
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি: বঙ্গ কাব্য সাহিত্য পরিষদ।
