নিয়োগ বাণিজ্যর প্রতিবাদ করায় যুবককে কুপিয়ে জখম

কেডিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয় নিয়োগ বাণিজ্যর প্রতিবাদ করায় যুবককে কুপিয়ে জখম

১২ জনকে আসামী করে থানায় মামলা
টাইমভিশন ডেস্ক: মাগুরার শালিখার গড়েরহাট সংলগ্ন নড়াইলের কেডিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে কর্মচারী নিয়োগে বাধা দেয়ায় প্রতিষ্ঠাতার ছেলেকে হত্যারচেষ্টা করেছে সংঘবদ্ধ চক্র। তারা লোহার রডসহ নানা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে ওই প্রতিবাদী ব্যক্তিকে। এছাড়া তার কাছ থেকে নগদ ১০ লাখ টাকা লুট করে নিয়েছে ঘুষ বানিজ্যে লিপ্ত চক্র।

এ ঘটনায় শালিখা থানায় ১২ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা হয়েছে। মাগুরার শালিখা থানায় নড়াইলের ধাড়িয়াঘাটার মোল্লা অবায়দুর রহমানের দেয়া মামলায় বলা কেডিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক
হলেন তার বাবা লুৎফর রহমান।

কুপিয়ে জখম করার এক পর্যায়ে খালিদের পায়ের রগ কর্তন করে সন্ত্রাসীরা/ টাইমভিশন।

তিনি এখন অবসরে আছেন। সম্প্রতি ওই প্রতিষ্ঠানে অফিস সহকারীসহ কয়েকটি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। আর প্রক্রিয়ায় মোটা অংকের ঘুষ বাণিজ্য শুরু করেন কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামসহ পদস্থরা।

তারা নিজেদের পকেট ভরতে নানা দৌঁড়ঝাঁপ ও দেন-দরবার করে অযোগ্য প্রার্থীদের সাথে লিয়াজোঁ বজায় রাখা শুরু করেন। অতি কষ্টে প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানো অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা ব্যথিত হন। এর প্রতিবাদ করেন লুৎফর রহমানের ছেলে খালিদুর রহমান। তিনি নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল ও বিনা টাকায় যোগ্য প্রার্থী নিয়োগের ব্যাপারে মত প্রকাশ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয় কার্যনির্বাহী কমিটির বর্তমান নেতৃবৃন্দ।

গত ২২ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে এলাকায় আসার পথে শালিখার গড়েরহাট
পৌঁছালে ফিরে ধরে ওই চক্রটি। দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে খালিদের উপর চড়াও হয় দাড়িয়াঘাটার শাহাব উদ্দিন ওরফে সাগর, জাহিদ বিশ্বাস, জালাল বিশ্বাস, মনিরুল ইসলাম, শিমুল বিশ্বাস, নাহিদ হেসেন, তারাশি গ্রামের তরিকুল ইসলাম, আতাউর রহমান, জাকারিয়া, শহীদ মোল্লা, মেহেদী ও শালিখার রামানন্দকাটির
রাসেল কবির।

তারা গুরুতর জখম করে খালিদকে। এরপর তার কাছে থাকা জমি কেনার ১০ লাখ টাকা লুট করে নেয় শাহাব উদ্দিন ওরফে
সাগর। এ ঘটনায় ২৪ ডিসেম্বর থানায় মামলা করেন খালিদের ভাই অবায়দুর মোল্লা থানায় মামলা করেন, যা তদন্ত চলমান। এছাড়া ঘুষ নিয়ে যাতে কেডিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লোক নিয়োগ না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখছে প্রশাসন। এ ব্যাপারে এর আগে নড়াইল জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে ঘুষ বাণিজ্য নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন খালিদুর রহমান। সে অভিযোগও তদন্তাধীন রয়েছে । সুত্র গ্রামেরকাগজ