
গাজি তুহিন,কেশবপুর: যশোরের কেশবপুর উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়নে চলতি ভাদ্রের শেষে সুপারির মৌসুম আশ্বিন প্রথমে থেকেই বিভিন্ন হাটে জমে উঠেছে সুপারি বেচাকেনা। বাজারে সুপারি সরবরাহ পর্যাপ্ত না থাকলেও দাম একদম কম। উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় সুপারির হাট বসে পাঁজিয়া ইউনিয়ন এর গড়ভাংঙ্গা বাজারে । প্রতি সপ্তাহে ৩ দিন হাট বসে এ বাজারে, রবিবার, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার এ হাটে সুপারি কেনাবেচা হয়।
এ ছাড়া উপজেলা, সদর, পাঁজিয়া, কাটাখালি , মাগুরখালি, চিংড়া, বগা, ভান্ডারখোলা, বেগমপুর, ভেচরি, হাসানপুরে বাজারে সুপারির হাট বসে। রবিবার গড়ভাংঙ্গা বাজার এলাকায় সুপারি হাটে দেখা গেছে এখানে তুলনায় কম সুপারির আমদানি হয়েছে। পাকা সুপারি বস্তায় ভরে বিক্রয়ের জন্য নিয়ে এসেছেন এখানে। সুপারি হাটে আসার বিভিন্ন রাস্তায় বসেছে অনেক ফড়িয়া ব্যবসায়ী। তাঁরা অপেক্ষাকৃত কম দামে সুপারি কেনেন।
বেলা শুরুতে সুপারি বেচতে আসেন সুপারি হাটে। কারণ বাইরে থেকে আসা ব্যবসায়ীরা এখানে বসেই সুপারি কেনেন। বাগান মালিক , সাজ্জাত মালী বলেন গত বছরের তুলনায় এবার সুপারির দাম অনেক কম। এখানে সুপারি বিক্রয় হয় কুড়ি হিসেবে। ৫৫ গুন্ডা সুপারিতে এক কুড়ি এবং ৪ টা সুপারিতে এক গুন্ডা। ভাল মানের বড় সাইজের সুপারি বিক্রি হচ্ছে ১ গুন্ডা ৪/৫ টাকা সুপারি বিক্রি হচ্ছে আকার ভেদে ছোট সাইজের সুপারির দাম আরও কম ২/৩ টাকা গুন্ডা ছোট সাইজে সুপারি।
গড়ভাংঙ্গা বাজারে বিক্রি করতে আসা বাগান চাষি, নাজমুল হোসাইন বলেন, ‘আজ আমি ৫ কুড়ি সুপারি বাজারে এনেছি। প্রতি কুড়ি বড় সাইজের ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা সুপারির দাম বলছে ছোট ১৪০ থেকে ১৬০ দাম বলে। এই দামে আমি সুপারি বিক্রি করব না। বাড়িতে নিয়ে মাটিতে পুতে রাখব। গত বছর বড় আকারের সুপারি কুড়ি ৪০০/ ৫০০ টাকা বিক্রয় করেছি । আর ছোট সুপারি ২৫০/৩০০ টাকায় কুড়ি। এবার সুপারির ফলন বেশ হওয়ায় দাম কমে গেছে।
মৌসুমের প্রথমে যদি বাজার দর এমন হয়, তাহলে পুরো সিজনে কি হতে পারে। সদ্য গড়ভাংঙ্গা বাজার ইজারাদার মালিক, ও ব্যবসায়ি, নজরুল ইসলাম বলেন, গত বছরের লাক্ষাধীক টাকার সুপারি ক্রয় ছিল, কিছু বিক্রি করেছি, বাদবাকি ভিজিয়ে রাখা আছে। এরকম অনেক বড় ব্যবসায়ি দের স্টক করে রাখা আছে, তারা বিক্রি করতে না পারায়, এবার শুরুতে সুপারি বাজার দর কম।
কেশবপুর উপজেলা কৃষি অফিসার ঋতুরাজ সরকার, জানান, তুলনায় যশোর জেলা,ও কেশবপুরে সুপারি চাষের হার কম। বাগেরহাট, বরিশালে, সুপারি চাষের পরিমাণ বেশি। এটি লাভজনক ও লাভবান ফসল। কৃষি অর্থনীতিতে সুপারি চাষ বড় ধরনের ভূমিকা রেখে আসছে। চাষিদের বসতবাড়ির সঙ্গে লাগানো সুপারি বাগান এখানকার মানুষের একটা ঐতিহ্যের বিষয়। প্রতিটি বাড়িতেই কমবেশি সুপারি চাষ করেন স্থানীয়রা।
আরও সংবাদ > >কেশবপুরে চুরির ঘটনায় মূলহোতাসহ ৫জন গ্রেফতার
আরও সংবাদ > >কেশবপুরের মেসার্স জামান ব্রিকসে চাঁদাবাজির অভিযোগে ২৪ জনকে আসামি করে যশোর আদালতে মামলা
আরও সংবাদ > >পরিমনির চলমান ঘটনায় বিব্রত প্রথম স্বামী কেশবপুরের সৌরভ
